সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও।
কক্সবাজার শহরের “ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট” কতৃক দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের খাবার সরবরাহের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও আয়োজক সংস্থা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা এসব খাবারের প্যাকেট খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় ছুড়ে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে।
সোমবার ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ দিন ব্যাপী শুরু হওয়া “বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিনে দুপুরে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুল থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে উক্ত ” ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট ” নাম সম্বলিত প্যাকেটের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা এসব প্যাকেট খুলে খাবারের মধ্যে নোংরা দুর্গন্ধের ঘ্রাণ পান। যার কারণে তারা তখনই খাবার প্যাকেট গুলো সকলের সামনে ছুড়ে ফেলে দেয়। সকলের মনে প্রশ্ন জাগে প্যাকেটে সরবরাহকৃত খাবার মাংসের পিসটি মুরগীর কিনা, না অন্য কিছুর। এ নিয়ে উক্ত হোটেলটি নিয়ে চরম তোলপাড় ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য এনজিও সংস্থা “সিডব্লিওএফডি” প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছে। উক্ত এনজিও সংস্থাই খাবার প্যাকেট গুলো হোটেল থেকে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক সংগ্রহ করে কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করে।
প্রশিক্ষণ ভেন্যু ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষোভের সাথে জানান, সরবরাহকৃত খাবার প্যাকেটের খাবারগুলো খুবই নোংরা ও দূর্গন্ধযুক্ত ছিল। এ খাবার সরবরাহে জড়িত “ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট ” কতৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
উক্ত হোটেল কতৃপক্ষের মোবাইল নং না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে অনেকে এর জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজনে জড়িত সংস্থাটির কোন সদস্য এ নিম্নমানের খাবার সংগ্রহে জড়িত কিনা তাও প্রশ্ন তুলছে। উক্ত ঘটনার পরপরই ভেন্যু প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভের সাথে উক্ত ঘটনাটি পোস্ট দেন। যা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়।
অভিযোগ উঠা,”ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট “র এর সাথে সম্পৃক্ত হোটেল বিচওয়ে এর রিসেপশনিস্ট প্রশান্তের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাদের খাবার হোটেল থেকে সরবরাহকৃত খাবারের বিষয়ে এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এরকম হওয়ার কথা নয়।হয়ত গরমের কারণে খাবারের মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কতৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখভাল করছেন।
পাঠকের মতামত